স্বদেশ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বরিস জনসন। সম্ভবত, বুধবারই তিনি ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা হতে চলেছেন। ৫৫ বছরের বরিসের সঙ্গী হতে চলেছেন তার গার্লফ্রেন্ড ক্যারি সাইমন্ডস। দু’জনের বয়সের ফারাক প্রায় ২৪ বছর। এই নিয়ে লন্ডনের আনাচে-কানাচে ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী, তারা কোন পোজে ছবি তুলবেন না নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। হবু ‘ফার্স্ট গার্লফ্রেন্ড’ ক্যারি অতীতে দলের ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশনের দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি পরিবেশবিদ হিসেবেও বিশেষ নামডাক রয়েছে তার। ২০১২ সালে লন্ডনের মেয়র পদে বরিসের পুনর্নির্বাচনের সময়ও তিনি প্রচুর খাটাখাটনি করেছিলেন।
দু’জনের প্রেম নিয়ে গল্পের কোনো শেষ নেই। বরিসের পূর্ববর্তী স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আগে থেকেই তাদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। তবে, বরিস কিংবা ক্যারি কখনই তাদের সম্পর্কের কথা লুকোতে চাননি। গত সেপ্টেম্বরে মেরিনা হুইলির সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই দু’জন দক্ষিণ লন্ডনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছেন হবু প্রধানমন্ত্রী। প্রেম নিয়ে লুকোচুরি না করলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে দেখা যায়নি তাকে।
নির্বাচনী প্রচারের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে বরিস সাফ জানিয়েছিলেন, ‘আমি যাঁদের ভালোবাসি, তাঁদের নিয়ে একটা কথাও বলব না।’
বরিসের পাশাপাশি সাইমন্ডসকে নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। চিত্কার-চেঁচামেচি করার জন্য গত জুন মাসে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ঠুকে দিয়েছিলেন এক প্রতিবেশী। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তারপর থেকেই বরিস ও ক্যারি আলাদা আলাদা থাকতে শুরু করেন বলে খবর।
দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বড় হয়ে ওঠেন ক্যারি। গোডলফিন ও ল্যাটমের প্রাইভেট স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশুনো সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর, বরিসের বান্ধবী সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের ওয়্যারউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার ও ইতিহাস নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। ক্যারির বাবা ছিলেন ‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ সংবাদপত্রের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথু সাইমন্ডস। অন্যদিকে, তার মা ছিলেন জোসেফিন ম্যাকেফি। শোনা যায়, ম্যাথুর সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।